কিশোর বিজ্ঞানী
~অন্নদাশংকর রায়
১.১ অন্নদাশংকর বায় প্রথম জীবনে কোন ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন?
উত্তর। অন্নদাশংকর রায় প্রথম জীবনে ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন।
১.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের ছড়ার বইয়ের নাম হল-উড়কি ধানের মুড়কি’ ও ‘রাঙা ধানের খই।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ কিশোরের মন লাগে না কীসে?
উত্তর। কিশোরের মন লাগে না খেলায়।
২.২ কখন কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায় ?
উত্তর। ছুটি পেলেই কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়।
২.৩ অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় কী কুড়িয়ে তোলে?
উত্তর। অনুসন্ধিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে তোলে।
২.৪ কোন্ পারাবারকে ‘অনন্তপার’ বলা হয়েছে?
উত্তর। জ্ঞানপারাবারকে ‘অনন্তপার’ বলা হয়েছে।
২.৫ দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখো।
উত্তর। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু হলেন দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী।
৩. কবিতা থেকে বিপরীত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
আলো, ছোটো, এখানে, তখন।
উত্তর। আলো-আঁধার। ছোটো-বড়ো। এখানে-সেখানে। তখন–এখন।
৪. প্রতিটি শব্দকে পৃথক অর্থে আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করো : সুধায়, পুরী, বেলা, হেলা, ভরা।
উত্তর।
সুধায় -(অমৃত) ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায বিদায়ের পাত্রখানি।
সুধায় -(জিজ্ঞাসা করে) মা সুধালেন আজ স্কুলে কী পড়া হয়েছে।
পুরী – (স্থান) পুরীতে জগন্নাথদেবের মন্দির আছে।
পুরী – (বাড়ি) আমাদের বাড়ি অমরা পুরীর মতো আনন্দপূর্ণ।
বেলা-(তট) পুরীর বেলাভূমি মনোরম।
বেলা -(সময়) বেলা যে পড়ে এল জলকে চল।
হেলা – (সহজে) বাঙালি সন্তান বিজয় সিংহ হেলায় লংকা জয় করেন।
হেলা – (কাত হওয়া) ঝড়ে গাছটা হেলে পড়েছে।
ভরা -(পূর্ণ) বর্ষায় পুকুর ডোবা জলে ভরে থাকে।
ভরা-(পুরো) ভরা দুপুরে বাড়ির বাইরে যাওয়া অনুচিত।
৫. আবিষ্কারের গল্পগুলির পাশে পাশে আবিষ্কারকের নাম উল্লেখ করো এবং তাঁদের সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করো : ঘড়ি, এরোপ্লেন, রেডিও, দূরবিন, টেলিভিশন।
উত্তর। ঘড়ি, এরোপ্লেন—রাইট ভাতৃদ্বয়। রেডিয়ো—মারকনি সাহেব। দূরবিন—গ্যালিলিয়ো। টেলিভিশন—জন বেয়ার্ড।
৬. ছুটি পেলে তোমার মন কী করতে চায় চার-পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর। ছুটি পেলে আমার মন বেড়াতে যেতে চায়। প্রতিদিনকার জীবনের একঘেঁয়েমি কাটিয়ে একটু আনন্দ উপভোগ করতে চাই। বাসে চড়ে সিঙ্গুর বাজারে যাই। সেখানে বিভিন্ন ধরনের দোকান ও বহু মানুষের সমাগম দেখে আমার খুব ভালো লাগে। নিজে কিছু কেনাকাটা করে তবে বাড়ি ফিরি।
৭. কবিতা থেকে শব্দ নিয়ে নীচের শব্দ ছকটি পূরণ করো :
উত্তর : আধাঁর , রত্নভরা , পারাবার, কিশোর, রঙের, রতন, নিউটন।
৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৮.১ পাঠ্য ছড়াটির প্রথম পক্তি শুরু হয়েছে ‘এক যে ছিল কিশোর’-এইভাবে, সাধারণত কোন ধরনের রচনা এভাবে শুরু হয়ে থাকে? সেই ধরনের রচনার বিষয়ের সঙ্গে ছড়াটির বিষয়গত সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।
উত্তর। এক যে ছিল কিশোর—সাধারণত কাল্পনিক কোনো গল্প বা রূপকথার গল্প কাহিনির সূচনা হয় এইভাবে।
এ ছড়াটির মিল হল কিশোরের কোনো সঠিক পরিচয়, সময় উল্লেখ নেই, কাল্পনিক গল্পে ও এইভাবে রাজা, রানি বা নানা জীবজন্তুর জীবন কাহিনি বর্ণনা থাকে। এই কবিতাটিতে কিশোর বিজ্ঞানী সম্পর্কে সাধারণ পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
অমিল হচ্ছে এখানে কিশোরের জ্ঞান অর্জনের স্পৃহার কথা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে যা কাল্পনিক গল্পতে সামগ্রিকভাবে বোঝানো হয়। আসলে এই পৃথিবীতে সকল শিশুই এক-একজন কিশোর বিজ্ঞানী। জানার আগ্রহ, আবিষ্কারের প্রেরণা জোগায় যা একদিন তারা নতুন নতুন তথ্য উদ্ভাবনের কাজে নিজেদের মনোনিবেশ করতে পারবে।
৮.২ ‘মন লাগে না খেলায়’– কার খেলায় মন লাগে না? কিশোরেরা সাধারণত কোন ধরনের খেলাধুলা করে থাকে? তার পরিবর্তে ছড়ার কিশোরটির কী করতে পছন্দ করত?
উত্তর। অন্নদাশংকর রায়ের রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী’ ছড়ায় উল্লেখিত কিশোরটির খেলায় মন লাগে না।
কিশোরেরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে দৌড়াদৌড়ি, লাফানো, ঝাঁপানো প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের খেলা মাঠেতে খেলতে পছন্দ করে।
***************************************************