Join Telegram group

Ads Area

ধরাতল - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতায় প্রশ্ন উত্তর ক্লাস সিক্স বাংলা | Dharatol question answer class 6

 ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর ক্লাস সিক্স| ধরাতল কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ক্লাস সিক্স বাংলা



ধরাতল 

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


সারসংক্ষেপ : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন সায়াহ্নে স্মৃতি মুখরিত দিনগুলির ছোটো সকল কথা ও ছোটো গীত মনে উদ্ভাসিত হয়। কবিজীবন নদীতে নৌকা বেয়ে চলেছেন। যেতে যেতে চারিপাশের ছোটো ছোটো বস্তু চোখে পড়ছে। কূলে কূলে দেখতে পান সবুজ পৃথিবী। সেগুলিকে ক্ষণকাল দেখলেও খুব ভালোবেসে দেখেন। কিন্তু সেই সময় নদীর তীর থেকে জীবনের প্রধান দুই উপাদান দুঃখ এবং সুখ দুই—ভাইবোন কবির মুখপানে চেয়ে থাকে করুণ নয়নে। নদীর তীরের ছায়া ঘেরা গ্রামগুলিকে কত প্রেম ঘিরে রয়েছে। উৎসাহী দৃষ্টি নিয়ে কবি যখন পৃথিবীর দিকে তাকান তাঁর মনে হয় এই পৃথিবীতে ভালোমন্দ,  সুখ-দুঃখ, আলো-অন্ধকারের অস্তিত্ব সর্বদাই পাশাপাশি বিরাজ করছে। আর বিপরীতধর্মী এই সব বিষয় পরস্পর অবস্থান করার কারণেই পৃথিবীকে এত সুন্দর লাগে।

শব্দার্থ : গীত—গান। ধরা—পৃথিবী। হেরি—দেখি। তরণী—নৌকা। শ্যামল— সবুজ। নিমেষ—মুহূর্ত।

ধরণি—পৃথিবী। নয়ন—চোখ। প্রেম-ভালোবাসা। উৎসুক—ব্যগ্র। পরাণ—প্রাণ, জীবন। বাহিয়া—বেয়ে।

হাতেকলমে

১.১ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।

উত্তর। কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম 'চণ্ডালিকা'।

১.২ তোমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?

উত্তর। আমাদের পাঠ্য কবিতাটি তার 'চৈতালি' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।

2। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :

২.১ কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে?

উত্তর। কবির মনে আজ ছোটো ছোটো গীত ও কথার ভাবনা এসেছে।

২.২ যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে কোন্ দৃশ্য ধরা পড়েছে?

উত্তর। যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে সবুজ পৃথিবীর দৃশ্য ধরা পড়েছে।

২৩ সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে?

উত্তর। সবাই প্রতি মুহূর্তে ‘যাই যাই’ বলে যাচ্ছে।

২.৪. যা কিছু দেখেন তাকেই কবি ভালোবাসেন কেন?

উত্তর। নদীপথে যেতে যেতে ক্ষণকালের জন্য সব কিছু দেখেন বলে কবি যা দেখেন, তাকেই ভালোবাসেন।

২.৫ কবি কাদের ভাই বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর। কবি সুখ-দুঃখকে ভাই বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.৬ গ্রামগুলি দেখে কবির কী মনে হয়েছে?

উত্তর। গ্রামগুলিকে দেখে কবির মনে হয়েছে সেখানে কত প্রেম তাদেরকে ঘিরে রয়েছে।

২. ৭ পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কী মনে হয়?

উত্তর। পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির মনে হয়, ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আলো-অন্ধকার নিয়েই এই পৃথিবী ভালো।

৩. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :

শ্যামল, দুঃখ, সুখ, করুণ, ছায়াময়, গ্রাম, উৎসুক, আলো।

উত্তর। 

বিশেষ্য👉👉বিশেষণ

শ্যামলিমা👉শ্যামল

দুঃখিত👉দুঃখ

সুখ👉 সুখী

কারুণ্য👉করুণ

ছায়া👉ছায়াময়

গ্রাম👉গ্রাম্য

উৎসুক👉উৎসুক্য

আলো👉আলোকিত

৪. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :

উত্তর। বাহিয়া > বেয়ে, মোর > আমার।

হেরি >দেখি, প্রাণ > পরাণ।

৫. দুটি বিপরীতার্থক শব্দ যুক্ত হয়ে একটি শব্দ পরিণত হওয়া শব্দগুলি কবিতা থেকে খুঁজে বের করো। ওই শব্দগুলি দিয়ে একটি করে বাক্য লেখো।

উত্তর। ভালোমন্দ—সমাজে ভালোমন্দ সব শ্রেণির মানুষ বাস করে।

অন্ধকার আলো—পৃথিবীতে অন্ধকার আলো পাশাপাশি অবস্থান করছে।

দুঃখসুখ—সকল মানুষের জীবনেই দুঃখ সুখ থাকে।

ভাইবোন—তাদের ভাইবোনে খুব মিল।

৬. নীচের বাক্যগুলির রেখাঙ্কিত অংশে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :

৬.১ চোখে পড়ে যাহা কিছু হেরি চারিপাশে।

উত্তর। বহুবচন।

৬.২ কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণি।

উত্তর। বহুবচন।

৬.৩ ক্ষণকাল দেখি বলে দেখি ভালোবেসে।

উত্তর। একবচন।

৬.৪ সবি বলে, ‘যাই যাহ' নিমেষে নিমেষে।

উত্তর। বহুবচন।

৬.৫ যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে।

উত্তর। একবচন।

৭. নীচের কবিতাংশটি ভেঙে পৃথক পৃথক বাক্যে লেখো :

যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়নে

আমার পরাণ হতে ধরার পরাণে-

ভালোমন্দ দুঃখ সুখ অন্ধকার-আলো

মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভালো।

উত্তর। (১) আমি ডৎত্সুক নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখি আমার পরাণ থেকে ধরার পরাণকে।

(২) এ ধরণি ভালোমন্দ, দুঃখসুখ, অন্ধকার-আলো এসব নিয়েই মনে হয় ভালো।

৮. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

৮.১ 'আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরুণী'—এখানে 'যেন' শব্দটি কেন ব্যবহার হয়েছে লেখো।

উত্তর। কবি কল্পনা করছেন যে তিনি নৌকো বেয়ে চলেছেন। কিন্তু বাস্তবে কবি নৌকো বেয়ে যাননি, তাই এখানে ‘যেন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন কবি।

৮.২ কবির কল্পনার নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি দেখেছেন?

উত্তর। কবির কল্পনায় নৌকাযাত্রায় তিনি নদীর কূলে কূলে সবুজ ধরণি দেখেছেন। ছায়াময় গ্রামগুলিকে কীভাবে প্রেম ঘিরে রেখেছে তা দেখেছেন। সবকিছুই ক্ষণকালের দৃষ্টিতে ধরা দেয় বলে তিনি ভালোবেসে ছোটো ছোটো জিনিসগুলিকে প্রত্যক্ষ করেন।

৮.৩ সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন?

উত্তর। এই বাস্তব পৃথিবীতে ভাইবোন মিলেমিশে পাশাপাশি বাস করে। সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। এরা এই পৃথিবীতে মানুষের জীবনে আসে যায়। সুখ-দুঃখ পৃথিবীর দুটি ভিন্ন উপাদান হলেও এরা পাশাপাশি অবস্থান করে। কোনো মানুষই এককভাবে সুখ বা দুঃখ ভোগ করে না। সুখ-দুঃখের মিলনেই জীবন পরিপূর্ণ, আনন্দময়। তাই সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে।

৮.৪ ‘মনে হয় সব নিয়ে এ ধরণী ভালো’—কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয়? এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?

উত্তর। সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। এরা পরস্পর একে অপরের পাশে অবস্থান করে আমরা যখন সুখের ন্যায় দুঃখকে জীবনের অপরিহার্য পরিণতি বলে মেনে নিতে পারব তখনই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে। বাস্তব পৃথিবীর মানুষ সুখকে যতটা সহজে মেনে নিতে পারে দুঃখকে জীবনে বরণ করে নিতে দ্বিধাবোধ করে।

সুখের আশাতেই মানুষ বুকে বল বাঁধে, বেঁচে থাকে। কিন্তু সুখ-দুঃখ মানুষের জীবনে চাকার মতো ঘুরে আসে। যেমন সুখ জীবনে আসে তেমন দুঃখও জীবনে আসে। এই সত্যটিকে মেনে নিয়ে মানুষ জীবনপথে এগিয়ে গেলে অবশ্যই এই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে।


**********************************************************


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Join Telegram Group

https://telegram.im/widget-logo/?v=1&bg=00abff&color=ffffff&round=on&login=&t=&b=Join+&width=100&height=100&fontsize=35&r=50

Ads Area