Join Telegram group

Ads Area

ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল – আকাশ ভরা সূর্য তারা (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 6 Geography wbbse

 ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল – আকাশ ভরা সূর্য তারা (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর 

West Bengal Class 6 Geography wbbse 


ক্লাস সিক্স ভূগোল আকাশ ভরা সূর্য তারা প্রশ্ন ও উত্তর 

West Bengal  Class 6 Geography Solution Chapter 1

West Bengal  Board Class 6 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 1 আকাশ ভরা সূর্য তারা Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 6 Geography Solution Chapter 1.

Your queries (toc)




-::অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর::-


শূন্যস্থান পূরণ করো :

(১) মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয় ....... বছর আগে ?

উত্তর। প্রায় ১৪০০ কোটি।

(২) লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে এক একটা......তৈরি হয়।

উত্তর। ছায়াপথ।

(৩) হাইড্রোজেন, হিলিয়াম গ্যাস, ধূলিকণার মেঘকে........বলে।

উত্তর। নীহারিকা।

(৪) নক্ষত্র হল এক একটা...........।

উত্তর। জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড।

(৫) কালপুরুষ........ঋতুতে দেখা যায়।

উত্তর। শীত।

(৬) গ্রহগুলির নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরাকে.......বলে।

উত্তর। আবর্তন গতি।

(৭) পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব............কিমি।

উত্তর। গড়ে ১৫ কোটি।

(৮) বিভিন্ন আকৃতির তারার ঝাঁককে.........বলে।

উত্তর। নক্ষত্রমণ্ডল।

(৯) পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়........গ্রহকে।

উত্তর। শুক্র।

(১০) পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা........সেলসিয়াস।

উত্তর। ১৫ ডিগ্রী ।

(১৩) মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ হল........এবং...........।

উত্তর। ডাইমোস ও ফোবস।

(১৪) সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা হল..........টি।

উত্তর। ৮টি।

(১৫) সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হল.........।

উত্তর। বুধ।


২। এককথায় উত্তর দাও :

(১) সূর্য ছাড়া আমাদের সবচেয়ে কাছের তারার নাম কী ?

উত্তর। প্রক্সিমা সেন্টার্ডরি।

(২) টেলিস্কোপের জন্য তৈরি গম্বুজকে কী বলে?

উত্তর। মানমন্দির।

(৩) আমরা কোথায় কৃত্রিমভাবে মহাকাশ, গ্রহ, তারা দেখতে পাই?

উত্তর। প্ল্যানেটোরিয়াম।

(৪) সূর্যের চারিদিকে গ্রহগুলির ঘোরাকে কী বলে?

উত্তর। পরিক্রমণ গতি।

(৫) কোন্ গ্রহকে লালগ্রহ বলা হয়?

উত্তর। মঙ্গল।

(৬) মহাকাশ থেকে পৃথিবীর রং কেমন দেখা যায়?

উত্তর। নীল।

(৭) সূর্যের দূরতম গ্রহটির নাম কী ?

উত্তর। নেপচুন।

(৮) ‘M’ অক্ষরের মতো দেখতে নক্ষত্রমণ্ডলীর নাম কী ?

উত্তর। ক্যাসিওপিয়া।

(৯) কোন্ মহাকাশচারী সবচেয়ে বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন ?

উত্তর। সুনীতা উইলিয়াম।

(১০) যে চন্দ্রযানে মানুষ চাঁদে নেমেছিল তার নাম কী?

উত্তর। ঈগল।

(১১) কোন্ গ্রহের একদিন একবছরের থেকে বড়ো?

উত্তর। শুক্রগ্রহ।

(১২) পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারীর নাম কী?

উত্তর। ইউরি গ্যাগারিন। 

(১৩) পৃথিবীর প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর নাম কী?

উত্তর। ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভা।

(১৪) NASA-এর পুরো কথা কী?

উত্তর। ন্যাশানাল এরোনেটিকস্ অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

(১৫) ISRO-এর পুরো কথা কী?

উত্তর। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন।

(১৬) সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ কোন্টি?

উত্তর। বৃহস্পতি।

(১৭) পৃথিবীকে একবার পাক খেতে চাঁদের কত সময় লাগে?

উত্তর। ২৭ দিন ৮ ঘণ্টা।

(১৮) চাঁদের আবর্তন গতি কত দিন?

উত্তর। ২৯ দিন ১৩ ঘণ্টা।

(১৯) সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহাণুর নাম কী ?

উত্তর। সেরেস্।

(২০) ভারতের প্রথম মহাকাশচারীর নাম কী ?

উত্তর। রাকেশ শর্মা।

(২১) উত্তর আকাশের উজ্জ্বল তারাটির নাম কী ?

উত্তর। ধ্রুবতারা।


৩। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :

(১) গ্যানিমিড হল বুধ/বৃহস্পতি/শুক্র গ্রহের উপগ্রহ।

উত্তর। বৃহস্পতি।

(২) পৃথিবীতে তোমার ওজন ৩০ কেজি হলে চাঁদে তোমার ওজন হবে ৪/৫/৬ কেজি।

উত্তর। ৫ কেজি।

(৩) চাঁদের মাটিতে কোনো শব্দ শোনা যায় না কারণ চাঁদে মাটি/জল/বাতাস নেই।

উত্তর। বাতাস।

(৪) ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি হল ভাস্কর/আর্যভট্ট/ ইনস্যাট।

উত্তর। আর্যভট্ট।

(৫) ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মহিলা মহাকাশচারী যিনি মহাকাশেই মারা যান তার নাম হল সুনীতা/কল্পনা/ ভালেনতিনা।

উত্তর। কল্পনা।

(৬) সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮মি ২০সে/৭মি ১০সে/৮মি।

উত্তর। ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

(৭) একটি দিক নির্ণায়ক তারার নাম হল ধ্রুবতারা/মঙ্গল/প্রক্সিমা সেন্টাডরি।

উত্তর। ধ্রুবতারা।

(৮) ইউরেনাসের রং সবুজ কারণ অ্যামেনিয়া/মিথেন/ইথেন গ্যাস থাকে।

উত্তর। মিথেন গ্যাস।

(৯) পৃথিবী সৌরপরিবারের অন্তঃস্থ/বহিঃস্থ/কেন্দ্রস্থ গ্রহ।

উত্তর। অন্তঃস্থ।

(১০) সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে মঙ্গলের স্থান তৃতীয়/চতুর্থ/পঞ্চম।

উত্তর। চতুর্থ।

(১১) অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত চাঁদের বাড়া কমাকে বলে চান্দ্রমাস/ সরকলা/চন্দ্রকলা।

উত্তর। চন্দ্রকলা।

(১২) নেপচুনের একটি উপগ্রহ হল টাইটান/ফোবোস/ট্রাইটান।

উত্তর। ট্রাইটান।

(১৩) হ্যালির ধূমকেতুকে শেষবার পৃথিবী থেকে দেখা গেছে। ৮৪/১৯৮৫/১৯৮৬ সালে।

উত্তর। ১৯৮৬ সালে।

(১৪) পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারী হলেন রাকেশ শর্মা/লাইকা/ইউরি গ্যাগারিন।

উত্তর। ইউরি গ্যাগারিন।

(১৫) মঙ্গলের মাটি হল, প্রাণের অস্তিত্ব সংক্রান্ত গবেষণার জন্য যে যন্ত্রটি মঙ্গলের মাটিতে নামে সেটি হল পেলো/কিউরিসিটি রোভার/ভাষ্কর।

উত্তর। কিউরিসিটি রোভার।

(১৬) শনির উন্নতা হল-২১৬°সে/ ১৮৪°সে/১৮৯°সে।

উত্তর। ১৮৪°সেন্টিগ্রেড।

(১৭) সূর্যের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ১২/১৪/১৩ লক্ষ গুণ।

উত্তর। ১৩ লক্ষ গুণ।

(১৮) সপ্তর্ষিমণ্ডলের তারার সংখ্যা হল ৭/৮/৯টি।

উত্তর। ৭টি।

(১৯) সূর্যের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম গ্রহ হল বুধ/বৃহস্পতি/শুক্র।

উত্তর। শুক্র।

(২০) সৌর ঝড় হয় প্রতি ৩১/২১/১১ বছর অন্তর।

উত্তর। ১১ বছর।


৪। -:নিজের বাক্যগুলি ঠিক না ভুল নির্ণয় কর :-

(১) ইউরেনাসের বিষুবরেখা উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।

উত্তর। ঠিক

(২) চাঁদের পরিক্রমণের সময় চান্দ্রমাসের তুলনায় বেশি।

উত্তর। ভুল

(৩) সৌরপরিবারের সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুটো।

উত্তর। ভুল

(৪) শনি গ্রহের ঘনত্ব জলের চেয়েও কম।

উত্তর। ঠিক

(৫) নেপচুনের পরিক্রমণকাল ১৬০ বছর।

উত্তর। ভুল

(৬) প্রায় ৫০০ কোটি বছর আগে সূর্য সৌরজগৎ কিছুই ছিল না।

উত্তর। ঠিক

(৭) পৃথিবীর মধ্যে ঢুকে যেতে পারে ১৩০০ বৃহস্পতি।

উত্তর। ভুল

(৮) টেলিস্কোপের মাধ্যমে ২০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের তারা দেখা যায়।

উত্তর। ঠিক

(৯) পৃথিবী থেকে সূর্য আরও তিন লক্ষ গুণ ভারী।

উত্তর। ঠিক

(১০) শুক্র বাদে প্রতিটি গ্রহই পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করে।

উত্তর। ঠিক

(১১) শনির উপগ্রহের সংখ্যা ২৭টি।

উত্তর। ভুল

(১২) সুনীতা উইলিয়ামস জন্মসূত্রে প্রথম ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারী।

উত্তর। ভুল

(১৩) মহাকাশে যাওয়ার একমাত্র যান হল রকেট।

উত্তর। ঠিক

(১৪) চাঁদে কথা বলতে হয় ইশারায় অথবা রেডিয়োর মাধ্যমে।

উত্তর। ঠিক

(১৫) পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের দু'দিকটা দেখতে পাই।

উত্তরভুল


৫। বামদিকের সঙ্গে ডানদিকের মিল করে দেখাও।

১/ বামদিক 👉 ডানদিক

(i) বামন গ্রহ👉 প্লুটো

(ii) নেপচুন👉 ট্রাইটন

(iii) গ্রহাণু👉 সেরেস

(iv) চন্দ্র অভিযান👉 নীল আর্মস্ট্রং

(v) মঙ্গল👉 লালগ্রহ


২/ বামদিক 👉 ডানদিক

(i) শনি গ্রহ👉টাইটান

(ii) কৃত্রিম উপগ্রহ👉INSAT

(iii) ইউরেনাস👉শীতলতম গ্রহ

(iv) স্পেস সুট👉মহাকাশে যাবার পোশাক 

(v) আকাশগঙ্গা👉ছায়াপথ

(vi) মানমন্দির👉দূরবিন 


● সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১। সৌরজগৎ বলতে কী বোঝ?

উত্তর। আকাশগঙ্গার লক্ষ লক্ষ তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ নক্ষত্র হল সূর্য। সূর্যকে ঘিরে গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, উল্কা, ধূমকেতু প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এইসব কিছু নিয়েই যে জগৎ গঠিত হয় তাকে সৌরজগৎ বলে।

২। সৌরজগতে কতগুলি গ্রহ আছে, কী কী?

উত্তর। সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা আটটি। গ্রহগুলিকে সূর্য থেকে দূরত্বের বিচারে সাজালে সেগুলি হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। 

৩। সন্ধ্যাতারা কী?

উত্তর। সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল একটা জ্যোতিষ্ক দেখা যায় সেটি হল সন্ধ্যাতারা। কিন্তু ভালে করে লক্ষ করলে দেখা যায় যে সেটি তারার মতো মিটমিট করে না। এটি আসলে শুরুগ্রহ। এটি সন্ধ্যাবেলা ছাড়াও ভোরবেলা পূর্ব আকাশে শুকতারা রূপে দেখা যায়।

৪। চন্দ্রকলা ও চান্দ্রমাস কাকে বলে?

উত্তর। অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা, আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যার চাঁদের একটু একটু করে বাড়া বা কমাকে বলে চন্দ্রকলা। আর একটা পূর্ণিমা থেকে আর একটা পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কে বলে চান্দ্রমাস।

৫। সৌরঝড় বলতে কী বোঝ ?

উত্তর। সূর্যের ছটামণ্ডল বা করোনা অঞ্চলে ছোটো ছোটো বিস্ফোরণ হলে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা, গ্যাস, রশ্মি বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে ‘সৌরঝড়’ বলে। এই সৌরঝড় প্রতি ১১ বছর অন্তর তীব্রভাবে হয়।

৬। পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলা হয় কেন?

উত্তর। পৃথিবীর উপরিভাগে ৭০ শতাংশ জলরাশি থাকায় মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে খুব উজ্জ্বল দেখায়। উজ্জ্বল আলোকিত অংশে গভীর জলরাশিকে নীল রংয়ের দেখায়। এই পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলা হয়। 

৭। জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝ?

উত্তর। রাতের আকাশে গ্রহ, উপগ্রহ, তারা দায়াপথ, ধূমকেতু ইত্যাদির সম্পর্কে অনুসন্ধান, গবেষণা ও জ্ঞান অর্জনে শাখাটির নাম জ্যোতির্বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রাচীনতম শাখা।

৮। আলোকবর্ষ কী?

উত্তর। আলোকবর্ষ একটি দূরত্ব মাপার বড়ো একক। আলো গতিবেগ ১ সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিমি। এই একক হল আলো ১ বছরে মোট যতটা দূরত্ব পার হয় তা হল এক আলোকবর্ষ। আলো ১ বছরে মোট ৯.৫ মিলিয়ন কিলোমিটারের সমন

৯। তারামণ্ডল বা প্ল্যানেটোরিয়াম কী ?

উত্তর। আমরা খালি চোখে প্রতিদিন রাত্রে তারা দেখি আকাশে। কিন্তু কৃত্রিমভাবে আমরা একটি গৃহে গিয়ে আকাশ তারা গ্রহ, উপগ্রহ ও তাদের সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞানলাভ করি। একে তারামণ্ডল বা প্ল্যানেটোরিয়াম বলে। যেমন-কলকাতা এম.পি. বিড়লা তারামণ্ডল।

১০। অন্তঃস্থ গ্রহ ও বহিঃস্থ গ্রহ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর। সৌরপরিবারের ভিতরের দিকের অর্থাৎ কাছের চারটি গ্রহ বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল-কে অন্তঃস্থ গ্রহ বলা হয়। একইভাবে সৌরপরিবারের বাইরের দিকের অর্থাৎ দূরের চারটি গ্রহকে বলা হল বহিঃস্থ গ্রহ। যেমন--বৃহস্পতি, শনি,ইউরেনাস ও নেপচুন।

• টীকা লেখো :

(১) কালপুরুষ : কালপুরুষ হল একটি অতিপরিচিত নক্ষত্রমণ্ডল। একটি শিকারি মানুষের আকৃতি বিশিষ্ট। এটি সাধারণত উত্তর গোলার্ধে শরতের শেষ সময় হতে বসন্তের শুরু পর্যন্ত বিশেষ করে জানুয়ারি মাসে এটি সবচেয়ে ভালো লক্ষ করা যায়। অনেকগুলি উজ্জ্বল ও অনুজ্জ্বল নক্ষত্র নিয়ে এটি তৈরি। ছবি দেখলে দেখা যায় প্রধানত সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্র রয়েছে যাদের একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করলে যোদ্ধা আকৃতির এই নক্ষত্রমণ্ডলকে পাওয়া যায়। এই শিকরি ডানহাতটি ওপরে তোলে, বামহাতে একটি ধনুক, কোমর বন্ধ কোমরে তরবারি ঝুলছে।

(২) সূর্য : সৌরজগতের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত হলুদ মাঝারি নক্ষত্রটিকে সূর্য বলে। এই সূর্যকে কেন্দ্র করে ৮টি গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহগুলি প্রদক্ষিণ করছে। সূর্যের বাইরের দিকের উদ্বৃতা ৬০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড আর ভিতরের দিকে উষ্ণতা প্রায় ১.৫ কোটি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সূর্য পৃথিবীর থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড়ো আর ৩ লক্ষ গুণ ভারী। সূর্যের আলোয় আমাদের গ্রহ পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহগুলি আলোকিত হয়। সূর্যের আলো ও উত্তাপের ২০ কোটি ভাগের একভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয়। এরকম সূর্যের মতো মাঝারি-হলুদ নক্ষত্রের আয়ু ১০০০ কোটি বছর। সূর্যের বাইরের অংশে ছোটো ছোটো বিস্ফোরণ হলে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা, গ্যাস, রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সৌরঝড় নামে পরিচিত।


(৩) মানমন্দির : মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপ বা দূরবিন যন্ত্র লাগানোর জন্য যে বিরাট গোলাকার গম্বুজ আকৃতির বাড়ি নির্মাণ করা হয় সেখানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিনা বাধায় ভালোভাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে তাকে মানমন্দির বলা হয়। মানমন্দির সাধারণত লোকালয় থেকে দূরে কোনো সুউচ্চ স্থানে করা হয় কারণ উঁচু জায়গায় বা পাহাড়ের উপর এগুলি নির্মাণ করা হলে বিনা বাধায় উঁচুস্থান থেকে আকাশ দেখতে সুবিধা হবে। দূষণমুক্ত পরিবেশ হলে স্বাচ্ছভাবে আকাশ দেখা যাবে। এ ছাড়া উঁচুস্থানে বায়ুস্তর পাতলা হয় তাই আলো বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যাবে।

এই মানমন্দিরের ছাদ গোলাকার হয় এবং সেটি ঘুরতে পারে। ছাদে জানালা থেকে যেখান দিয়ে টেলিস্কোপের সাহায্যে বাইরের আকাশ দেখা যায়। উদাহরণ : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখে রয়েছে পৃথিবীর উঁচু মানমন্দির।

(৪) চন্দ্রগ্রহণ : চন্দ্রগ্রহণ হয় সাধারণত পূর্ণিমা তিথিতে। চন্দ্রগ্রহণে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরল রেখায় আসে। সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী অবস্থান করে এক সরল রেখায়, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং পৃথিবীর ওই অংশ থেকে তখন আমরা আর চাঁদকে দেখতে পাই না। এই ঘটনাটিকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। কখনো-কখনো পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও আংশিক বা খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। যে চন্দ্রগ্রহণে পৃথিবীর সমগ্র ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং আমরা সম্পূর্ণ চাদকে দেখতে পাই না। তখন তা পূর্ণগ্রাস। আবার যখন পৃথিবীর আংশিক ছায়া চাঁদের ওপর আংশিকভাবে পড়ে এবং পৃথিবী থেকে চাঁদকে আংশিকভাবে দেখা যায়, তাকে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।


✓ রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর:

(১) সৌরজগৎ কীভাবে সৃষ্টি হল তা লেখো

উত্তর : মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ একটা বালির কণার থেকেও ছোটো অবস্থা ছিল। প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয়। কোটি কোটি বছর ধরে ধুলোর মেঘ, গ্যাস থেকে তৈরি হয় অসংখ্য নীহারিকা, ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, উল্কা। প্রায় ৫০০ কোটি বছর আগে সূর্য, সৌরজগৎ কিছুই ছিল না। ছিল মহাশূন্যে ভাসমান ধূলিকণা, গ্যাস এর বিরাট মেঘ। ধীরে ধীরে ধূলিকণা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম গ্যাস সংকুচিত হয়ে জমাট বেঁধে তৈরি হয় সূর্য। সদ্য জন্মানো নক্ষত্রে মহাকর্ষের কারণে, পরমাণু পরমাণুতে ধাক্কা লাগে এবং প্রচণ্ড তাপ আর শক্তি তৈরি হয়। এর ফলে জ্বলন্ত আগুনের গোলার মতো সূর্য থেকে আলো, উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে । অবশিষ্ট ধূলিকণা, গ্যাস সূর্যের আকর্ষণে, সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই ধুলোর মেঘ থেকে তৈরি হয় পৃথিবী ও অন্য এই উপগ্রহ।

(২) সৌরজগৎ সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর : মহাকাশে সূর্য এবং সূর্যকে কেন্দ্র করে যে সকল গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু ঘুরছে তাদের সম্মিলিতভাবে সৌরজগৎ বলা হয়। সৌরজগৎ একটি নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই ছায়াপথ বা নক্ষত্রপুঞ্জের নাম হল আকাশগঙ্গা। এটি সূর্য থেকে ২৮,০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সৌরজগতের মোট ৮টি কুলিন গ্রহ রয়েছে। এগুলি হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন। এ ছাড়া ৫টি বামনগ্রহ যেমন—প্লুটো, ইরিম, সেরেস, সেকসেক ও হামিয়া। সৌরজগতে বিভিন্ন গ্রহের ৩৩৫টি উপগ্রহ ৩০০টিরও বেশি গ্রহাণু এবং প্রায় ১ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে। গ্রহগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে চারদিকে পরিক্রমণ করে। গ্রহগুলির মধ্যে সূর্যের নিকটে অবস্থিত গ্রহ হল বুধ এবং সবচেয়ে দূরে অবস্থিত হল নেপচুন। এদের মধ্যে একমাত্র পৃথিবী হল একটি গ্রহ যেখানে মানুষ বাস করে। সৌরজগতে মঙ্গলকে বলা হয় লালগ্রহ পৃথিবীকে নীল গ্রহ এবং ইউরেনাসকে সবুজ গ্রহ। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সমস্ত গ্রহগুলি। সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ হল টাইটান।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Join Telegram Group

https://telegram.im/widget-logo/?v=1&bg=00abff&color=ffffff&round=on&login=&t=&b=Join+&width=100&height=100&fontsize=35&r=50

Ads Area